রিয়েল তন্ময়,বিনোদন প্রতিবেদকঃ কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে ৩.৮৯ (৪.০০) সিজিপিএ নিয়ে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত কনভোকেশনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার এ অর্জনের পেছনে থাকা মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
কোনাল তার প্রয়াত বাবার কথা তুলে ধরে লিখেছেন, আব্বু শুধু বলতো, “আমি থাকতে থাকতে তুমি আর অর্ক পড়াশোনাটা শেষ করো।” কি ভেবে বলতেন জানিনা, তবে আব্বু থাকাকালীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শুরু করতে পেরেছিলাম। অসুস্থ আব্বুর হাসপাতাল বিছানার পাশে বসেও আমি ক্লাস করেছি। কিন্তু আমার এই শেষ দেখার জন্য আব্বুই থাকল না। আব্বুকে তাঁর মাটির বিছানায় শোয়ানোর পর যখন গ্রামে থাকতে লাগলাম বেশ অনেকদিন; তখন ভাঙা ইন্টারনেট দিয়ে ক্লাস করেছি, পরীক্ষা দিয়েছি। দাদি পাশে বসে থাকতেন, আমাকে সঙ্গ দিতেন। মা তখনো হাসপাতালে ছিলেন।
কোনাল তার মায়ের বিষয়ে লিখেছেন, আমার মা সায়মা মনির মিনু, আমার স্বর্গ। সারাজীবন নিজের আরাম-আয়েশ-শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছেন। কারণ তিনি চেয়েছেন আমার যেন কোনো অপূর্ণতা না থাকে জীবনে। আম্মু এখনো বলেন, আমি বেঁচে থাকতে তোমার পড়াশোনা যেন না থামে।
জীবনসঙ্গী সংবাদকর্মী মনজুর কাদের জিয়ার কথা কোনাল বলতে ভুল করেননি। তার বিষয়ে কোনালের ভাষ্য, মনজুর কাদের জিয়া আমার পাশে এই পুরো পথচলায় ছায়ার মতো থেকেছে । আমার নির্ঘুম রাতগুলোর পার্টনার, আমার ঝন্টু মিয়া ওরফে জিয়া। ও আমাকে নিয়ে যত স্বপ্ন দেখে, নিজেকে নিয়েও দেখে না হয়তো।
সবশেষে ছোট ভাই অর্ক’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কোনাল লিখেন, আমার ভাইটা, অর্ক। আমার চেয়ে বয়সে ছোট। কিন্তু কত কিছু যে আমাকে পড়িয়েছে-শিখিয়েছে। ও আমার সবচেয়ে বড় গাইড। আমার এনসাইক্লোপিডিয়া। এই মানুষগুলোর জন্যই সম্ভব হয়েছে সব কিছু।
সবশেষে সবার দোয়া চেয়ে কোনাল লিখেছেন, গতকাল শেষ হয়েছে জীবনের এই ছোট্ট অধ্যায়। আর এখন শুরু হবে আরেকটা। সবার দোয়া চাই।
একদম শেষে কোনাল দিয়েছেন ভালোবাসার প্রতীক, হৃদয়ের ইমুজি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।